পৃথিবীতে ভালবাসার মানুষ একজনা || Prithibite Valobashar Manus Akjona || Islami Song || মায়ের স্মৃতি || Memory of Mother
পৃথিবীতে ভালবাসার মানুষ একজনা
মাসুদ রানা
সঙ্গীত বিশ্লেষণ:
স্তবক-১ বিশ্লেষণ:
“পৃথিবীতে ভালবাসার মানুষ একজনা... যার পায়ের নিচে বেহেস্ত আমার, সেই তো আমার মা।”
এই স্তবকে মাকে ভালোবাসার একমাত্র ও সেরা ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইসলামের ভাষায়, "মায়ের পায়ের নিচে বেহেশত"—এই হাদীস ভিত্তিক কথা দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে, মায়ের সন্তুষ্টিই জান্নাত লাভের অন্যতম মাধ্যম। এটি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার এক নিখাদ ঘোষণা।
স্তবক-২ বিশ্লেষণ:
“দশ মাস দশদিন গর্ভে ধরে কষ্ট করলেন যিনি... সেই মায়েরই কষ্টের ঋণ তো শোধ দিতে পারব না।”
এই অংশে মাতৃত্বের শারীরিক কষ্ট ও আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সন্তানের জন্য যে কষ্ট মা সহ্য করেন, বিশেষ করে গর্ভকাল ও প্রসববেদনা—তা এমন ঋণ, যা কখনও শোধ করা সম্ভব নয়। এটি আমাদের অপরাধবোধ ও কৃতজ্ঞতার অনুভূতি জাগায়।
স্তবক-৩ বিশ্লেষণ:
“মাকে কত দিয়েছি গালি... এমন মায়ের সাথে কারো হয় না তুলনা।”
এখানে সন্তান নিজের অতীতের ভুল এবং মায়ের সহনশীলতা নিয়ে অনুশোচনার সুরে কথা বলছে। মা সব কষ্ট মুখে হাসি রেখে সহ্য করেছেন, কাউকে বুঝতে দেননি। এই অংশে মায়ের সীমাহীন ধৈর্য ও ভালোবাসার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ পেয়েছে।
স্তবক-৪ বিশ্লেষণ:
“মা বলে নামাজ রোজা কর... দ্বীনের পথে চলতে যে মা নিষেধ করে না।”
এই স্তবকে দেখানো হয়েছে, মা কেবল পার্থিব নয়, আধ্যাত্মিক পথেও সন্তানকে পরিচালিত করেন। তিনি দ্বীন ইসলাম, নামাজ, রোজা, কুরআন-হাদীস পড়ার আদেশ দেন। এমন মা সন্তানের জন্য পরকালীন মুক্তির পথও উন্মুক্ত করেন। ইসলামী শিক্ষার দৃষ্টিতে, এ স্তবক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তোমার গজলটি অত্যন্ত গভীর ও শিক্ষণীয়, প্রতিটি স্তবকেই ইসলামী মূল্যবোধ ও মানবিক আবেগ চমৎকারভাবে মিশে আছে।
সারমর্ম:
এই ইসলামি গজলের সারমর্ম হলো—মা হলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উপহার, যার ভালোবাসা নিঃস্বার্থ, whose feet lie the Paradise as per Islamic teachings. তাঁর প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া, তাঁর কষ্ট বুঝে কৃতজ্ঞ থাকা, এবং তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীনের পথে চলা প্রত্যেক মুসলমান সন্তানের দায়িত্ব।
পোস্ট কি-ওয়ার্ডস:
ইসলামী গান | মায়ের ভালোবাসা | জান্নাত মায়ের পায়ের নিচে | ইসলামিক গজল | বাংলা ইসলামি সংগীত | আল্লাহ ও রাসুলের ভালোবাসা | দ্বীনের পথে | মা এক আশীর্বাদ
প্রশ্নোত্তর পর্ব
No comments