রাজশাহী বিভাগ: ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সেতুবন্ধন | দর্শনীয় স্থান | Place of Interest of Rajshahi Division
📜 উপস্থাপনা:
🥭 রাজশাহী
জেলা | Rajshahi District:
"শিক্ষানগরী"
এবং "সিল্ক সিটি" নামে সুপরিচিত রাজশাহী জেলা তার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং বিভিন্ন
রকমের আমের জন্য বিখ্যাত। এ জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোও পর্যটকদের বিশেষভাবে আকর্ষণ
করে। যেমন-
🏰
পুঠিয়া রাজবাড়ী: রাজশাহী
শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে প্রায় ৩২ (বত্রিশ) কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ’পুঠিয়া রাজবাড়ী’
কমপ্লেক্সটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ এবং সুরক্ষিত একটি রাজবাড়ী। এখানে বেশ কয়েকটি
নান্দনিক ডিজাইনের মন্দির ও প্রাসাদ রয়েছে, যার মধ্যে শিব মন্দির, গোবিন্দ মন্দির
ও দোলমঞ্চ উল্লেখযোগ্য।
🕌
বাঘা মসজিদ: রাজশাহী
শহর থেকে প্রায় ৪০ (চল্লিশ) কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শৈল্পিক সৌন্দর্য্যের এই মসজিদটি
তার অনবদ্য টেরাকোটা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। জানা যায়, ১৫২৩-১৫২৪ সালে সুলতান নাসিরউদ্দিন
নুসরাত শাহ এটি নির্মাণ করেন।
🏛️
বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর: এটি
বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর, যা ১৯১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে সিন্ধু সভ্যতা থেকে শুরু
করে পাল, সেন ও মুসলিম আমলের বহু মূল্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংরক্ষিত আছে। আর
এগুলোর জন্যই এটি পর্যটক ও দর্শনার্থীদের আকর্ষণের স্থান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
🌅
পদ্মার পাড় ও টি-বাঁধ: রাজশাহী
শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীর পাড় এবং টি-বাঁধ রাজশাহীর জেলার অন্যতম জনপ্রিয়
একটি বিনোদন কেন্দ্র। বিশেষ করে সূর্যাস্তের সময় এখানকার দৃশ্য অত্যন্ত মনোরম দেখায়
এর দর্শনার্থীদের ভিড় জমে যায়।
🌳
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও প্যারিস রোড: বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে সাজানো-গোছানো
ও মনোরম পরিবেশের দিক থেকে দেশের অন্যতম সেরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের
বিখ্যাত প্যারিস রোড প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপূর্ব নিদর্শন, যা দর্শনার্থীদের দৃষ্টি
আকর্ষণ করে।
🏺 বগুড়া
জেলা | Bogura District:
প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধন রাজ্যের
রাজধানী হিসেবে সুপরিচিত মহাস্থানগড় এই জেলায় অবস্থিত হওয়ায় বগুড়া ঐতিহাসিকভাবে
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জেলাতেও রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান। যেমন-
🏰
মহাস্থানগড়: বগুড়ায়
অবস্থিত মহাস্থানগড় বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এখানে হযরত
শাহ সুলতান বলখী (রঃ) এর মাজার, গোবিন্দ ভিটা, জিয়ৎ কুণ্ড ও বৈরাগীর ভিটা সহ নানা
ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান রয়েছে।
🛖
বেহুলার বাসর ঘর (গোকুল মেধ):
এটি লোকমুখে বহুল প্রচলিত একটি স্থান, যেটি মহাস্থানগড় থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে
অবস্থিত। এটাকে বর্তমানে দেখতে একটি স্তূপ এর মতো দেখায়, যা বেহুলা-লক্ষিন্দরের কাহিনীর
সাথে জড়িত বলে প্রচলিত আছে।
👑
নওয়াব প্যালেস ও সৈয়দুন্নেসা ভবন: এটি বর্তমানে "নওয়াব প্যালেস মিউজিয়াম" হিসেবে
জনসাধারণের মাঝে পরিচিত। বগুড়ার নবাবদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র এখানে সংরক্ষিত আছে।
🕌
খেরুয়া মসজিদ: বগুড়ার
জেলার শেরপুর উপজেলায় অবস্থিত প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো এই মসজিদটি খেরুয়া মসজিদ নামে
পরিচিত, যা মুঘল স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন।
🌐 নওগাঁ
জেলা | Naogaon District:
ঐতিহাসিক নিদর্শন ও প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যের সমন্বয়ে নওগাঁ জেলা পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান। নওগাঁতে আছে
অতি পরিচিত কিছু দর্শনীয় স্থান। যেমন-
☸️
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার (সোমপুর মহাবিহার): এটি ইউনেস্কো কর্তৃক ঘোষিত ও স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী
স্থান। পাল বংশের রাজা শ্রী ধর্মপাল দেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে এটি নির্মাণ করেন।
এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বৌদ্ধবিহার।
💵
কুসুম্বা মসজিদ: এটি
নওগাঁ জেলায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান। বাংলাদেশের পাঁচ টাকার নোটে মুদ্রিত
এই মসজিদটি সুলতানি আমলের স্থাপত্যের এক চমৎকার উদাহরণ।
✒️
পতিসর রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি: আত্রাই
উপজেলায় অবস্থিত এই কুঠিবাড়িতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার জমিদারি দেখাশোনার
জন্য আসতেন। পরবর্তীতে এটিও রবীন্দ্র ভক্তদের জন্য দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে।
🏞️
আলতাদীঘি ও শালবন জাতীয় উদ্যান:
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় অবস্থিত এই বিশাল দিঘি এবং তৎ সংলগ্ন শালবন প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যের এক অপূর্ব আধার। যেখানে প্রতিনিয়ত দর্শনার্থীদের ভিড় করতে দেখা যায়।
🏰
বলিহার রাজবাড়ী: নওগাঁ সদর উপজেলায় অবস্থিত এটি একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী
রাজবাড়ী।
👑 নাটোর
জেলা | Natore District:
'বনলতা সেন'-এর নাটোর তার
রাজবাড়ী এবং গণভবনের জন্য দেশজুড়ে পরিচিত। এছাড়াও আরো বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে,
যেগুলি দর্শনার্থীদের জন্য পছন্দের কেন্দ্র বিন্দু। যেমন-
🏛️
উত্তরা গণভবন (দিঘাপতিয়া রাজবাড়ী): এটি আগে দিঘাপতিয়া রাজাদের বাসস্থান
ছিল। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গীয় বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এর স্থাপত্যশৈলী ও সুন্দর বাগান পর্যটকদের মুগ্ধ করে। যার কারণে প্রতিনিয়ত দর্শনার্থীদের
আনাগোনা দেখা যায়।
🏰
নাটোর রাজবাড়ী ও রাণী ভবানীর প্রাসাদ: নাটোর জেলা শহরের কেন্দ্রস্থলে
অবস্থিত এই রাজবাড়ীটি রাণী ভবানীর স্মৃতিবিজড়িত এক ঐতিহাসিক স্থান। এটিও পর্যটকদের
জন্য এক অনন্য দর্শনীয় স্থান।
💧
চলনবিল: এটি দেশের বৃহত্তম এই বিল। এই বিলটি নাটোর, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ
জেলা জুড়ে বিস্তৃত। বর্ষাকালে এর বিশাল জলরাশি এক অপরূপ দৃশ্যের সৃষ্টি করে। চারিদিকে
দেখে মনে হয় শুধু পানি আর পানি।
🌊
হালতি বিল: হালতি বিল নাটোরের অন্যতম একটি জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র। বিশেষ
করে বর্ষা মৌসুমে এর সৌন্দর্য বহুগুণে বেড়ে যায় এবং দর্শনার্থীদের আনাগোনা দেখা যায়।
🥭 চাঁপাইনবাবগঞ্জ
জেলা | Chapainawabganj District:
'আমের রাজধানী' হিসেবে
খ্যাত এই জেলা ঐতিহাসিক গৌড় নগরীর অংশ হওয়ায় এই জেলাতেও অনেক প্রাচীন মসজিদ ও স্থাপনা
রয়েছে। যেমন-
🕌
ছোট সোনা মসজিদ: চাপাইনবাবগঞ্জ এর এক অনন্য ঐতিহ্যবাহী দর্শনীয় স্থান ছোট সোনা
মসজিদ। সুলতানি স্থাপত্যের রত্ন হিসেবে পরিচিত এই মসজিদটি শিবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত।
✨
তোহাখানা কমপ্লেক্স: এটি শাহ
সুজার বিশ্রামাগার হিসেবে নির্মিত হয়েছিল। এই কমপ্লেক্সে একটি মসজিদ ও হযরত শাহ নেয়ামতুল্লাহ
(রঃ) এর মাজার রয়েছে।
🧱
দারাসবাড়ি মসজিদ ও মাদ্রাসা: এটিও গৌড়ের অন্যতম একটি প্রাচীন ও সুন্দরতম
মসজিদ, যা বর্তমানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
🛒
কানসাট আম বাজার: পূর্বেই বলেছি চাঁপাইনবাবগঞ্জ আমের জন্য বিখ্যাত। এটিকে আমের
রাজধানীও বলা যায়। এই জেলার যতগুলি আমের বাজার রয়েছে, তন্মদ্ধে বৃহৎ বাজার হচ্ছে কানসাট
আম বাজার। এটি শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর বড় বাজারই নয়, বরং দেশের সর্ববৃহৎ আমের
বাজার এটি।
🌉 পাবনা
জেলা | Pabna District:
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এবং মানসিক
হাসপাতালের জন্য সুপরিচিত পাবনা জেলায় বেশ কিছু ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান রয়েছে।
যেমন-
🚂
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ: পদ্মা নদীর উপর নির্মিত এটি দেশের অন্যতম বৃহত্তম রেলসেতু।
এটি ১৯১৫ সালে বৃটিশরা নির্মাণ করেছিল। ১০০ বছরের অধিক পুরোনো ডাবল লাইনের এই ব্রিজটিতে
এখনো দুটি ট্রেন স্বাভাবিক গতিতে একসাথে চলতে পারে ও ক্রস করতে পারে। এটি একটি প্রকৌশল
বিস্ময়।
🌉
লালন শাহ সেতু: হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পূর্ব পাশেই নির্মিত এই সেতুটিও একটি
দর্শনীয় স্থান। বাস, ট্রাক, মটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস
সহ অন্যান্য সকল যান চলাচলের জন্য এটি নির্মাণ করা হয়। এই ব্রিজটির উত্তর পাড়ে পাবনা
ঈশ্বরদী এবং দক্ষিণ পাড়ে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা।
🛕
জোড় বাংলা মন্দির: পাবনা জেলা শহরে অবস্থিত এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক
নিদর্শন। পুরোনো স্থাপনা ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন প্রেমিদের কাছে এটি বর্তমানে দর্শনীয়
স্থান।
🏛️
তাড়াশ ভবন: পাবনা
জেলা শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত এই পুরোনো স্থাপনাটি। দর্শনীয় এই জমিদার বাড়িটি বনমালী
রায় বাহাদুর নির্মাণ করেন। বর্তমানে এটি ভ্রমন পিপাসুদের জন্য দর্শনীয় স্থান।
🎬
সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়ি: সুচিত্রা সেন সবার পরিচিত একজন অভিনেত্রী, যিনি
দীর্ঘ দিন যাবৎ বাংলা চলচিত্রে অভিনয় করেছেন। কিংবদন্তী এই অভিনেত্রীর নির্মিত বাড়িটি
এখন "সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা" হিসেবে উন্মুক্ত। যা দর্শকদের দৃষ্টি
আকর্ষণ করে।
🧵 সিরাজগঞ্জ
জেলা | Sirajganj District:
বাংলাদেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের
১৬ টি জেলার মধ্যে সিরাজগঞ্জ একটি। সড়ক পথে ঢাকা সহ বরিশাল, চট্রগাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ
বিভাগে যেতে হলে সিরাজগঞ্জ দিয়ে যেতে হয়। এই জেলাতেই অবস্থিত যমুনা সড়ক সেতু ও যমুনা
রেল সেতু। যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত এই জেলা তাঁতশিল্প ও বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের জন্য
বিখ্যাত। নিম্নে উল্লেখযোগ্য কিছু দর্শনীয় স্থানের তথ্য তুলে ধরা হলো।
🌉
যমুনা সড়ক সেতু ও যমুনা রেল সেতু: যমুনা নদী পাড়ি দিয়ে সড়ক পথে ঢাকা সহ বরিশাল,
চট্রগাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে যেতে হলে যমুনা সড়ক সেতু ও যমুনা রেল সেতু দিয়ে যেতে
হয়। যমুনা সেতু বাংলাদেশের জনগণের কাছে কয়েকটি নামে পরিচিত। যেমন- যমুনা বহুমুখী সেতু,
যমুনা সেতু, বঙ্গবন্ধু সেতু। তবে বর্তমানে যমুনা সেতু হতে রেল লাইন তুলে ফেলা ও সরিয়ে
ফেলার কারণে এটি আর বহমুখী শব্দটি ব্যবহার অর্থহীন হয়ে পরেছে। যমুনা সড়ক সেতুর
উজানে আরেকটি যমুনা রেল সেতু নির্মাণ করায় উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গের মানুষদের জন্য
যোগাযোগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এই সেতু দুটি দেশের মাটিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু
যা দেশের পূর্ব ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে।
✒️ রবীন্দ্র
কাছারি বাড়ি: এই বাড়িটি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে উপজেলায় অবস্থিত। এই বাড়িতে
অবস্থান করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার পিতার জমিদারি দেখাশোনা করতেন এবং এখানে বসেই তিনি
তাঁর অনেক বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম রচনা করেন।
🛕
হাটিকুমরুল নবরত্ন মন্দির: এটি সিরাজগঞ্জ জেলার হাটিকুমরুল উপজেলায় অবস্থিত।
১৬৬৪ সালে মন্দিরটি নির্মিত হয়। বর্তমানে এটি দেশের অন্যতম সুন্দর নবরত্ন মন্দির হিসেবে
পরিচিত। যা হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের জন্য আকর্ষণীয় ও দর্শনীয় স্থান।
💧
চলনবিল: এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম বিল, যা নাটোর ও পাবনার পাশাপাশি সিরাজগঞ্জ
জেলাতেও এর বিস্তীর্ণ অংশ রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এই বিল টি মনোরম দৃশ্য তৈরী করে, যা
দেখতে অপূর্ব লাগে।
🗿 জয়পুরহাট
জেলা | Joypurhat District:
বাংলাদেশের ছোট জেলাগুলির
তালিকায় জয়পুরহাট একটি। দর্শনীয় স্থানের বিচারে এই জেলাটিও পিছিয়ে নেই। ছোট এই জেলাটিতেও
রয়েছে বেশ কিছু ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। যেমন-
🛕
বার শিবালয় মন্দির: মাধব ঘাট, বুধইল, পাঁচবিবি এর বিপরীত পার্শ্বে যমুনা নদীর
পূর্ব পাড়ে বেল-আমলা গ্রামে এটি অবস্থিত। সেন রাজবংশের বল্লাল সেন নির্মাণ করেন
বলে ধারণা করা হয়। এছাড়া রাজিব লোচন মণ্ডল নামে একজন ধনাঢ্য হিন্দু বণিক ১৭০০ সালের
দিকে এই মন্দিরের গোড়াপত্তন করেন বলে অনেকে মনে করেন। প্রতিষ্ঠাতা যে জনই হোক, এই মন্দির
সেন শাসনামলে হিন্দু ও জৈন ধর্মে অনুসারীদের জন্য একটি প্রাচীন তীর্থস্থান হিসেবে আজো
দাঁড়িয়ে আছে যমুনার তীরে
🏞️
আছরাঙ্গা দিঘী: জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের অবস্থিত
এই দিঘি। এটি একটি বিশাল ও ঐতিহাসিক দিঘী, যা ভ্রমণপিপাসুদের আকর্ষণ করে।
🕌
হিন্দা-কসবা শাহী মসজিদ: এটিও ক্ষেতলাল উপজেলায় অবস্থিত। কুমিল্লা জেলার
বাগমারী পীর মাওলানা আব্দুল গফুর চিশতি (রহ.) এর নির্দেশক্রমে ১৩৬৫ বাংলা সনে মসজিদটি
নির্মাণ করা হয়। মাওলানা নিজেই মসজিদটির নকশা প্রণয়ন করেন এবং ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন
করেন। বর্তমানে এটি জয়পুরহাট জেলার ঐতিহাসিক ও দৃষ্টিনন্দন মসজিদ।
⚒️ পাথরঘাটা:
জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলায় অবস্থিত এই স্থানে প্রাচীন সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ
দেখতে পাওয়া যায়। এসব ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য মাঝে মাঝেই দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায়।
✅ উপসংহার:
রাজশাহী বিভাগ ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক সমৃদ্ধ ভান্ডার। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ
ও প্রচারের মাধ্যমে এই অঞ্চলের পর্যটন শিল্পকে আরও উন্নত করা সম্ভব, যা দেশের অর্থনীতিতে
গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
❤পোস্ট কি-ওয়ার্ড | Post Keyword:
রাজশাহী বিভাগের দর্শনীয়
স্থান | উত্তরবঙ্গের ঐতিহাসিক স্থান | বগুড়া মহাস্থানগড় ভ্রমণ গাইড | পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার
নওগাঁ | নাটোরের উত্তরা গণভবন | বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন | চলনবিল ভ্রমণের
সেরা সময়।
প্রশ্নোত্তর | FAQ
প্রশ্ন ১: বাংলাদেশের পাঁচ টাকার নোটে কোন মসজিদের ছবি রয়েছে এবং এটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: বাংলাদেশের পাঁচ টাকার নোটে কুসুম্বা
মসজিদের ছবি রয়েছে, যা নওগাঁ জেলায় অবস্থিত।
প্রশ্ন ২: 'উত্তরা গণভবন'
এর পূর্বনাম কী ছিল এবং এটি বর্তমানে কী হিসেবে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: 'উত্তরা গণভবন' এর পূর্বনাম ছিল
দিঘাপতিয়া রাজবাড়ী এবং এটি বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গীয় বাসভবন
হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন ৩: বাংলাদেশের
প্রথম জাদুঘরের নাম কী এবং এটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘরের নাম বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর এবং এটি রাজশাহী শহরে অবস্থিত।
প্রশ্ন ৪: চলনবিল কোন
কোন জেলা জুড়ে বিস্তৃত?
উত্তর: চলনবিল বাংলাদেশের বৃহত্তম বিল,
যা নাটোর, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলা জুড়ে বিস্তৃত।
প্রশ্ন ৫: 'আমের রাজধানী'
হিসেবে কোন জেলা পরিচিত এবং কেন?
উত্তর: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা 'আমের রাজধানী'
হিসেবে পরিচিত। উন্নতমানের বিভিন্ন জাতের আম এবং দেশের সর্ববৃহৎ আমের বাজার 'কানসাট'
এখানে অবস্থিত হওয়ায় এই জেলাটি এমন খ্যাতি পেয়েছে।
প্রশ্ন ৬: পাহাড়পুর
বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর মহাবিহার কে নির্মাণ করেন এবং এর গুরুত্ব কী?
উত্তর: পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার পাল রাজা ধর্মপাল
নির্মাণ করেন। এর গুরুত্ব হলো এটি ইউনেস্কো স্বীকৃত একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এবং
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বৌদ্ধবিহার।
প্রশ্ন ৭: হার্ডিঞ্জ
ব্রিজ কোন নদীর উপর নির্মিত এবং এর বিশেষত্ব কী?
উত্তর: হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পদ্মা নদীর উপর
নির্মিত একটি রেলসেতু। এর বিশেষত্ব হলো, এটি ১০০ বছরেরও বেশি পুরোনো একটি প্রকৌশল বিস্ময়,
যার ওপর দিয়ে এখনো দুটি ট্রেন একসঙ্গে চলাচল করতে পারে।
আরো পড়ুন:-
১.
No comments