খুলনা বিভাগের দর্শনীয় স্থানসমূহ | Tourist attractions of Khulna Division
![]() |
খুলনা বিভাগ |
🗺️ খুলনা বিভাগের দর্শনীয় স্থানসমূহ| Tourist attractions of Khulna Division:
উপস্থাপনা:
খুলনা বিভাগ। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত এ বিভাগ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক নিদর্শনে
সমৃদ্ধ এক অঞ্চল। এই
বিভাগের ১০টি জেলাই পর্যটকদের
জন্য আকর্ষণীয় ও পছন্দের স্থান। সুন্দরবন থেকে শুরু করে
বিভিন্ন ঐতিহাসিক মসজিদ, মন্দির এবং গুণীজনদের স্মৃতিবিজড়িত
স্থান ও স্থাপনা এই বিভাগকে করেছে
অনন্য। নিচে খুলনা বিভাগের
প্রতিটি জেলার উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানগুলোর একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন
তুলে ধরা হলো:
১। খুলনা জেলা | Khulna District | সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার:
বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম
জেলা শহর খুলনা। এটি বিভিন্ন প্রাকৃতিক এবং ঐতিহাসিক নিদর্শনে পরিপূর্ণ। যেমন:
💞সুন্দরবন: পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন হচ্ছে সুন্দরবন। ইউনেস্কো
কর্তৃক স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এই সুন্দরবন খুলনা জেলার অন্যতম আকর্ষণ। সুবিশাল
এই বনে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতীর প্রাণী। যেমন: রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রা হরিণ, বানর
ও কুমিরসহ অসংখ্য জীবজন্তু ও পাখি। বিশেষ করে সুন্দরবনের করমজল, কটকা, হিরণ পয়েন্ট
ও দুবলার চর পর্যটকদের জন্য জনপ্রিয়।
💞খান জাহান আলী সেতু
(রূপসা সেতু): রূপসা নদীর উপর নির্মিত এই সেতু খুলনা
জেলার অন্যতম সুন্দর ও আকর্ষণীয় স্থাপত্য। সন্ধ্যায় ও রাতে আলোকসজ্জার কারণে এই সেতুর
সৌন্দর্য বহুগুণ বেড়ে যায়, যা দর্শকদের হৃদয় কাড়ে।
💞রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
শ্বশুরবাড়ি:
খুলনা জেলার ফুলতলা
উপজেলার দক্ষিণ ডিহিতে অবস্থিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরবাড়ি। এর বাংলাদেশি
থেকে শুরু করে কবি প্রেমিদের কাছে একটি ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান।
💞খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর: খুলনা জেলার শিববাড়ি মোড়ে অবস্থিত এই জাদুঘরে বিভিন্ন ঐতিহাসিক
ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংরক্ষিত আছে।
💞ভূতিয়ার পদ্মবিল: তেরখাদা উপজেলায় অবস্থিত এই বিল ভূতিয়ার পদ্মবিল নামে পরিচিত।
এটি পদ্ম ফুলের জন্য বিখ্যাত, যা প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক আকর্ষণীয় ও দর্শনীয় স্থান।
২। বাগেরহাট জেলা
| Bagerhat District | মসজিদের নগরী:
ঐতিহাসিক মসজিদের জন্য
বিখ্যাত বাগেরহাট জেলা ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের অন্তর্ভুক্ত।
এই জেলাতে রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান। যেমন:-
💞ষাট গম্বুজ মসজিদ: হযরত খান জাহান আলী (রঃ) কর্তৃক নির্মিত
এই মসজিদটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন এবং স্থাপত্যশিল্পের এক অসাধারণ নিদর্শন। প্রতিনিয়ত
সেখানে অসংখ্য পর্যটকের ভিড় দেখা যায়।
💞খান জাহান আলী (রঃ)
এর মাজার: বাগেরহাট জেলায় দর্শনার্থীদের আকর্ষণের
আরেকটি কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে খান জাহান আলী (রহঃ) এর সমাধি ও মাজার। খাঞ্জেলী দীঘির
পাড়ে অবস্থিত এই মাজারে প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে।
💞নয় গম্বুজ মসজিদ: জেলার শিরোনামেই বলা হয়েছে বাগেরহাট কে
মসজিদের শহর বলা হয়। এই জেলায় স্বাভাবিক রকমের মসজিদের পাশাপাশি আরো অনেক ঐতিহাসিক
মসজিদ রয়েছে। যেমন- ঠাকুর দীঘির পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত নয় গম্বুজ মসজিদও একটি ঐতিহাসিক
স্থাপত্য ও দর্শনীয় স্থান।
💞চন্দ্রমহল ইকো পার্ক: খুলনা-মোংলা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এই
পার্কটি একটি সুন্দর বিনোদন কেন্দ্র। এই পার্কে পানির নিচ দিয়ে তৈরী সুরঙ্গ রাস্তা
রয়েছে। যেখানে প্রবেশ করলে গ্লাসের ভিতরদিয়ে মাছ দেখা যায়।
💞মংলা বন্দর: বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর
হচ্ছে মংলা সমূদ্র বন্দর। এটি বাগেরহাট জেলার মংলায় অবস্থিত।
৩। সাতক্ষীরা জেলা
| Satkhira District | সুন্দরবনের শেষ প্রান্ত:
সুন্দরবনের পশ্চিমাংশ সাতক্ষীরা
জেলায় অবস্থিত। এ ছাড়াও এই জেলায় রয়েছে অনেক ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক দর্শনীয় স্থান। যেমন:-
💞সুন্দরবন (পশ্চিম অংশ):
সাতক্ষীরা জেলা সুন্দরবনের
বাংলাদেশ অংশের শেষ প্রান্ত বা পশ্চিমপ্রান্ত। সাতক্ষীরা রেঞ্জের মধ্যে সুন্দরবনের
কলাগাছিয়া এবং কচিখালী পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
💞যশোরেশ্বরী কালীমন্দির: সাতক্ষীরার বৃহত্তম উপজেলা শ্যামনগর এর ঈশ্বরীপুর গ্রামে
অবস্থিত এটি একটি ঐতিহাসিক কালীমন্দির এবং হিন্দুদের জন্য একটি পবিত্র তীর্থস্থান।
মহারাজা প্রতাপাদিত্য মন্দিরটি নির্মাণ করেছেন বলে ধারণা করা হয়।
💞মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র
সৈকত: এটি একটি অনাবিষ্কৃত স্থান। সত্যিকারার্থে
পর্যটন কেন্দ্র হলেও লোকের মাঝে এখনো এর তথ্যবিস্তার ঘটেনি। কিন্তু এটি দর্শনার্থীদের
জন্য একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র।
💞তেঁতুলিয়া জামে মসজিদ: সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় অবস্থিত এটি একটি ঐতিহাসিক মসজিদ।
এখানেও মাঝে মাঝে দর্শনার্থীদের ভিড় করতে দেখা যায়।
৪। যশোর জেলা |
Jashore District | স্মৃতিবিজড়িত ইতিহাস ও ফুলের মিলনমেলা:
যশোর জেলা তার ঐতিহাসিক
গুরুত্ব এবং ফুলের ব্যবসার জন্য সুপরিচিত। এ জেলাতেও রয়েছে বেশ কিছু ঐতিহাসিক ও দর্শনীয়
স্থান। যেমন:-
💞মাইকেল মধুসূদন দত্তের
বাড়ি: যশোরের কেশবপুর
উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে অবস্থিত সনেটের রাজা মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি।
এটি বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান।
💞গদখালী: 'ফুলের রাজধানী' হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশের
যশোর উপজেলার গদখালী। বিশাল এলাকা জুড়ে বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাষ করা হয়, যা এক মনোমুগ্ধকর
দৃশ্যের সৃষ্টি করে।
💞চাঁচড়া শিব মন্দির: যশোর জেলা্ সদরের চাঁচড়া গ্রামে অবস্থিত
এর মন্দিরটি চাঁচড়া শিব মন্দির নামে পরিচিত। জানা যায়, আনুমানিক ১৬৯৬ খ্রিস্টাব্দে
চাঁচড়ার রাজা মনোহর রায় এটি নির্মাণ করেছিলেন। বর্তমানে এটি প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন,
যা তার পোড়ামাটির ফলকের কাজের জন্য বিখ্যাত।
💞জেস গার্ডেন পার্ক: শহরের অদূরে অবস্থিত এটি একটি বিনোদন
কেন্দ্র। প্রায় ১২ একর জমির উপর অবস্থিত এই পার্কটি মরহুম এস.এম. হাবিবুল হক চুনি ১৯৯২
সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এখানে প্রচুর দর্শনার্থীর ভিড় দেখা যায়।
৫। নড়াইল জেলা | Narail District | শিল্প ও প্রকৃতির মিলনস্থল:
চিত্রা নদীর তীরে অবস্থিত
সংগ্রামী ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তূজার নড়াইল জেলা, যেটি শিল্পী এস এম সুলতানের জন্মস্থান
হিসেবেও পরিচিত। এই জেলাতে রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান। যেমন-
💞এস এম সুলতান স্মৃতি
সংগ্রহশালা: এই সংগ্রহশালায়
শিল্পী এস এম সুলতানের অনেক বিখ্যাত চিত্রকর্ম ও তাঁর ব্যবহৃত জিনিসপত্র সংরক্ষিত আছে।
💞অরুনিমা ইকো পার্ক: প্রায় ৫০ একর জায়গায় অবস্থিত ও বিস্তৃত
এই পার্কটি একটি সুন্দর বিনোদন কেন্দ্র এবং গলফ ক্লাব হিসেবেও পরিচিত। প্রতিদিন এখানে
অনেক পর্যটক আসেন।
💞চিত্রা রিসোর্ট: চিত্রা নদীর তীরে নির্মিত মনোরম পরিবেশের
এই রিসোর্টটি অবকাশ যাপনের জন্য একটি আদর্শ জায়গা। এই রিসোর্টের সৌন্দর্য্যও ভ্রমণপিপাসুদের
আকর্ষণ করে।
💞বাঁধা ঘাট: নড়াইল শহরের চিত্রা নদীর তীরে অবস্থিত
এটি একটি ঐতিহ্যবাহী ঘাট। প্রত্যহ বিকেলে এখানে অসংখ্য দর্শনার্থীদের ভিড় করতে দেখা
যায়।
৬। মাগুরা জেলা | Magura District | প্রাচীন স্থাপত্যশিল্প ও ঐতিহ্যময় স্থান:
মাগুরা জেলা বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক
নিদর্শন এবং ঐতিহাসিক স্থানের জন্য পরিচিত। যেমন:-
💞রাজা সীতারাম রায়ের
প্রাসাদ-দুর্গ: মাগুরা
জেলার মুহম্মদপুর উপজেলায় অবস্থিত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত রাজবাড়িটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে।
যা প্রত্নতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে দর্শনীয় স্থান বটে।
💞বিরাট রাজার বাড়ি: মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় অবস্থিত এটি
একটি প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।
💞সিদ্ধেশ্বরী মঠ: নবগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত এটি একটি
প্রাচীন মঠ। যেখানে প্রচুর দর্শনার্থীদের ভিড় করতে দেখা যায়।
৭। ঝিনাইদহ জেলা | Jhenaidah District | বারো আউলিয়ার পুণ্যভূমি:
ঐতিহাসিক এবং আধ্যাত্মিক
স্থান মিলিয়ে ঝিনাইদহ একটি বৈচিত্র্যময় জেলা। এটিকে বারো আউলিয়ার পূণ্যভূমিও বলা হয়।
এ জেলাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান। যেমন:-
💞বারোবাজার: এখানে গাজী-কালু-চম্পাবতীর মাজারসহ বেশ
কিছু প্রাচীন-ঐতিহাসিক মসজিদ ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে। যা দর্শনার্থীদের দৃষ্টি
আকর্ষণ করে।
💞শৈলকূপা শাহী মসজিদ: এটি একটি মধ্যযুগীয় স্থাপত্যের সুন্দর
নিদর্শন। মানুষ যেমন নামাজ পড়তে আসে তেমনি দেখতেও আসে।
💞এশিয়ার বৃহত্তম বটগাছ: ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত
এই বটগাছটি প্রায় ১১ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। এটি এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম বটগাছ।
💞নলডাঙ্গা রাজবাড়ি: নলডাঙ্গা গ্রামে অবস্থিত এটি একটি ঐতিহাসিক
রাজবাড়ি। বর্তমানে এটি শুধু রাজবাড়িই নয় বরং এটি এখন সুপরিচিত রিসোর্ট।
৮। কুষ্টিয়া জেলা | Kushtia District | সাহিত্য ও সংস্কৃতির রাজধানী:
বিখ্যাত বাউল সম্রাট লালন
শাহ এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত স্থান কুষ্টিয়া জেলা সাহিত্য ও
সংস্কৃতির এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এখানে রয়েছে-
💞লালন শাহের মাজার: কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় অবস্থিত বাউল সম্রাট
লালন শাহের আখড়া ও মাজার, যেটি লালন ভক্তদের জন্য একটি আধ্যাত্মিক মিলনকেন্দ্র। প্রতিনিয়ত
অনেক ভ্রমণ পিপাসু দর্শকদের ভিড় করতে দেখা যায়।
💞রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
কুঠিবাড়ি: কুষ্টিয়ার
শিলাইদহে অবস্থিত এই রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়িতে কবিগুরু তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু
সময় কাটিয়েছেন এবং সাহিত্যের অনেক কালজয়ী রচনা সৃষ্টি করেছেন।
💞হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন
শাহ সেতু: এই দুটি স্থাপনা
বাস্তবিকপক্ষে পাশাপাশি অবস্থিত। পূর্বপার্শ্বে লালন শাহ সেতু আর পশ্চিম পার্শ্বে হার্ডিঞ্জ
ব্রিজ। এই স্থাপনাদুটি উত্তর মেরু পাবনার ঈশ্বরদীতে আর দক্ষিণ মেরু কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা
পাকশীতে। দুটি সেতুই ভ্রমণ পিপাসুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
💞মীর মশাররফ হোসেনের
বাস্তুভিটা: কুষ্টিয়ার
কুমারখালী উপজেলায় অবস্থিত এটি একটি প্রাচীন ও ঐতিহাসিক স্থান।
৯। চুয়াডাঙ্গা জেলা | Chuadanga District | মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থান:
মেহেরপুর জেলার পার্শ্ববর্তী
জেলা চুয়াডাঙ্গা। এই জেলায় রয়েছে দেশের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতিবিজড়িত
স্থান। যেগুলো পরিদর্শনে আমাদের পুরোনো স্মৃতি নাড়া দিয়ে ওঠে। যেমন:-
💞আটকবর: চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলায় অবস্থিত
এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার আটজন শহীদের কবরস্থান। এগুলো দর্শনে এখনো মুক্তিযুদ্ধের পুরোনো
স্মৃতি কে নতুন করে সামনে নিয়ে আসে।
💞দর্শনা কেরু অ্যান্ড
কোং লি.: দর্শনা কেরু
অ্যান্ড কোং লি. বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন চিনিকল। এটি বাংলাদেশের একটি ভারী শিল্প
প্রতিষ্ঠান। চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় অবস্থিত এই চিনিকল দেশের
বৃহত্তম চিনিকল এবং বর্তমানে পর্যটকদের জন্য দর্শনীয় স্থান।
💞ঘোলদাড়ি জামে মসজিদ: ঘোলদাড়ি জামে মসজিদ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক
ও প্রাচীন জামে মসজিদ। ১০০৬ সালে মোহাম্মদ ঘোরীর শাসনামলে ওমর শাহ নামের এক ধর্মপ্রাণ
দরবেশ ঘোলদাড়ী গ্রামে এটি নির্মাণ করেন। আলমডাঙ্গা উপজেলার এ মসজিদ বর্তমানে পর্যটকদের
আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দূ।
১০। মেহেরপুর জেলা
| Meherpur District | বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের প্রথম রাজধানী:
মেহেরপুর জেলা স্বাধীন
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এক অতুলনীয় গুরুত্ব বহন করে। ঐতিহাসিক স্থান মুজিবনগর এই জেলাতেই
অবস্থিত, যেখানে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়েছিল। এছাড়াও রয়েছে আরে বেশ
কয়েকটি দর্শনীয় স্থান। যেমন:-
💞মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ
স্মৃতি কমপ্লেক্স: মুজিবনগরে
গঠিত হয়েছিল বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার। যে সরকারের নেতৃত্বে পাকিস্তানি হানাদার
বাহিনীর হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল। তাই বাংলাদেশের
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে ধরে রাখতে এখানে একটি বিশাল স্মৃতিসৌধ এবং কমপ্লেক্স নির্মাণ
করা হয়েছে। যা দেশ প্রেমীদের কাছে এক ঐতিহাসিক ও স্মৃতিমূলক স্থান।
💞আমঝুপি নীলকুঠি: মেহেরপুর জেলার আমঝুপি নামক গ্রামে অবস্থিত
তখনকার আমলের ইংরেজ নীলকুঠি। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই নীলকুঠিটি ইতিহাসের এক নীরব সাক্ষী
ও বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।
💞ভাটপাড়া নীলকুঠি: এটিও একটি ঐতিহাসিক নীলকুঠি যা ব্রিটিশ
শাসনের স্মৃতি বহন করে। নীল চাষ পরিচালনার জন্য ইংরেজরা এটি প্রতিষ্ঠা করেছিল। এটিও
বর্তমানে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলির একটি।
উপসংহার:
উপরোক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান
হয় যে, খুলনা বিভাগের প্রতিটি জেলা তার নিজস্ব স্বকীয়তা এবং সৌন্দর্য দিয়ে পর্যটকদের
আকর্ষণ করে। এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য, সৌন্দর্য্য এবং সমৃদ্ধ ইতিহাস ভ্রমণ পিপাসুদের
জন্য এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
পোস্ট কি-ওয়ার্ড
| Post Keywords:
খুলনা বিভাগের দর্শনীয় স্থান | সুন্দরবন ভ্রমণ গাইড | বাগেরহাটের ঐতিহাসিক মসজিদ | রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি শিলাইদহ | লালন শাহের মাজার কুষ্টিয়া | মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ ভ্রমণ | যশোরের ফুলের রাজ্য গদখালী | খুলনা ট্যুরিস্ট স্পট | বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী মেহেরপুর | সাতক্ষীরা ভ্রমণ আকর্ষণ
প্রশ্নোত্তর | FAQ
প্রশ্ন ১: কোন জেলাকে 'মসজিদের নগরী' বলা
হয় এবং কেন?
উত্তর: বাগেরহাট জেলাকে 'মসজিদের নগরী'
বলা হয়। কারণ এখানে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান ষাট গম্বুজ মসজিদ, নয় গম্বুজ
মসজিদসহ অসংখ্য ঐতিহাসিক মসজিদ রয়েছে।
প্রশ্ন ২: বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী
কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী
মেহেরপুর জেলায় অবস্থিত, যা ঐতিহাসিক মুজিবনগর নামে পরিচিত।
প্রশ্ন ৩: 'ফুলের রাজধানী' হিসেবে পরিচিত
স্থান কোনটি এবং এটি কোন জেলায় অবস্থিত?
উত্তর: 'ফুলের রাজধানী' হিসেবে পরিচিত
স্থান হলো গদখালী, যা যশোর জেলায় অবস্থিত।
প্রশ্ন ৪: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত
দুটি স্থান কী কী যা খুলনা বিভাগে রয়েছে?
উত্তর: খুলনা বিভাগে অবস্থিত বিশ্বকবি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত দুটি স্থান হলো কুষ্টিয়ার শিলাইদহে তাঁর কুঠিবাড়ি
এবং খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলায় তাঁর শ্বশুরবাড়ি।
প্রশ্ন ৫: এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম বটগাছটি
কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম বটগাছটি
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত।
প্রশ্ন ৬: বাউল সম্রাট লালন শাহের মাজার কোথায়?
উত্তর: বাউল সম্রাট লালন শাহের মাজার কুষ্টিয়া
জেলার ছেঁউড়িয়ায় অবস্থিত।
প্রশ্ন ৭: হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এবং লালন শাহ সেতু
কোন দুটি জেলার মাঝে সংযোগ স্থাপন করেছে?
উত্তর: হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতু
পাবনা জেলার ঈশ্বরদী এবং কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারাকে সংযুক্ত করেছে।
প্রশ্ন ৮: সুন্দরবনের কোন অংশ সাতক্ষীরা জেলায়
পড়েছে এবং সেখানকার দুটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রের নাম কী?
উত্তর: সুন্দরবনের পশ্চিমাংশ সাতক্ষীরা
জেলায় পড়েছে। সেখানকার দুটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হলো কলাগাছিয়া এবং কচিখালী।
১.
২.
৩.
No comments